নিজস্ব সংবাদদাতা
আজ ১৫ই আগস্ট, মহান জাতীয় শোক দিবস, বাঙালি জাতির জন্য এক কালো দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাংলাদেশের এক কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সকল সদস্যকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে নির্মমভাবে হত্যা করে। ঐদিন ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে যারা উপস্থিত ছিলেন কেউই রক্ষা পাননি। শুধু হত্যা করেই ওই কুচক্রী মহল শান্ত হয়নি, পরবর্তীতে এই বিচার কার্যক্রম যাতে না হতে পারে, এজন্য এক অধ্যাদেশ জারি করে। কিন্তু মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন একসময় অপরাধীদের সাজা দিবেন, এটাই নির্মম সত্য। তাই স্বাধীনতার অনেক বছর পরে হলেও তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনক ও তার পরিবার হত্যার বিচার কার্যক্রম রাষ্ট্রীয়ভাবে শুরু করেন এবং জাতির জনকের হত্যাকারীদের শাস্তির ঘোষণা হয়। হত্যাকারীদের মধ্যে দু’এক জন দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় থাকলেও তাদেরকে খুঁজে বের করার এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের বিচার করার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আমরা বাঙালি জাতি এই দিনটিকে শোক দিবস হিসেবে পালন করি এবং জাতির জনক ও তাঁর পরিবারবর্গের মধ্যে ঐদিন যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি। সরকারি অফিস-আদালত এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নানামুখী কর্মকাণ্ড থাকে এ দিনটিকে ঘিরে।
তারই ধারাবাহিকতায় আজ এই শোক দিবসে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার নগর ইউনিয়নের ধানাইদহ হক অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এর পক্ষ থেকে এই দিনটিকে পালনের জন্য আলোচনা অনুষ্ঠান ও দোয়া মাহফিল এর আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠান সভাপতি জনাব একেএম লুৎফুল হক, প্রধান শিক্ষক এবং অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাঁচবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় এর সম্মানিত শিক্ষক জনাব আব্দুস সালাম ও জনাব রবিউল ইসলাম, দেওশিন উচ্চ বিদ্যালয় এর সম্মানিত শিক্ষক জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম ও জনাব মোঃ মজিবুর রহমান, গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম, জনাব ওয়াজেদ আলি ও নীরেন্দ্রনাথ মন্ডল ডন, উপজেলার সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জনাব মোঃ মনিরুল ইসলাম শামীম। উপস্থিত সকল বক্তাগণ অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে এই দিনটির তাৎপর্য উল্লেখ করে জাতির জনক ও তাঁর পরিবারবর্গের স্মৃতিচারণ করেন এবং দ্বিতীয় পর্বে দেওশিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ মজিবুর রহমান দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
উল্লেখ্য ধানাইদহ হক অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ২০১৮ সালে অনুমোদন লাভ করে পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি ইএমআইএস কোড ১৪০৩০১০২। প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত আছে। বর্তমানে মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকারি নির্দেশ মোতাবেক সারাদেশের সমস্ত বিদ্যালয় এর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ আছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে সরকারি নির্দেশ মোতাবেক প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালু হলে প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের জীবন গঠন এবং দৈনন্দিন কার্যক্রমে অভ্যস্ত হয়ে ওঠার পাশাপাশি তাদের শিক্ষার বিষয়ে ধানাইদহ হক অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে উপস্থিত অতিথিগণ সবাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।