সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটিং লাইনআপ কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ছুড়ে দেওয়া ১২৭ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বালুর বাধের মতো ভেঙে পড়েছে। তারা হারিয়েছে শেষ ৭ উইকেট মাত্র ১৪ রান তুলতে। ১২ রানে তাতে ১২৬ রান তাড়া করতে হার মেনেছে।
হায়দরাবাদের শনিবার রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১২৬ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ হয়েছিল। ফেলেছিলেন ৫৬ রান তুলে ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টো ৬.২ ওভারেই। এরপর ওয়ার্নার ফিরে যান ২০ বলে ৩৫ রান করে। বেয়ারস্টোও এর ২ রানের মাথায় ফিরেন। তিনি ২০ বলে ১৯ রান করে যান। ৬৭ রানের মাথায় আব্দুল সামাদ আউট হন ৭ রান করে। সেখান থেকে দলীয় সংগ্রহকে ১০০ পর্যন্ত টেনে নেন মানিশ পান্ডে ও বিজয় শঙ্কর।
এরপরই বিপর্যয় শুরু হয় তাদের। তারা ১০০ থেকে ১১৪ রানে যেতেই শেষ ৭টি উইকেট হারায়। ১০০ রানে ফিরেন মানিশ (১৫), ১১০ রানে শঙ্কর (২৬), ১১২ রানে জেসন হোল্ডার (৫), একই রানে রশিদ খান (০), ১১৪ রানে সন্দীপ শর্মা (০), ১১৪ রানে প্রিয়াম গার্গ (৩) ও একই রানে খলিল আহমেদ (০) রান আউট হলে ইনিংশের যবনিকাপাত ঘটে হায়দরাবাদের।
সিং ক্রিস জর্দান ও অর্শ্বদীপ এমন জয়ে বল হাতে পাঞ্জাবের হয়ে ছড়ি ঘুরিয়েছেন। জর্দান ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩টি ও অর্শ্বদীপ ৩.৫ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। নিকোলাস পুরান সর্বোচ্চ ৩২* রান করেন এর আগে পাঞ্জাবের ইনিংসে। লোকেশ রাহুল ২৭, ক্রিস গেইল ২০, মানদীপ সিং ১৭ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১২ রান করেন। তাতে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রানের সংগ্রহ পায় প্রীতি জিনতার দল। হায়দরাবাদের সন্দীপ শর্মা, জেসন হোল্ডার ও রশিদ খান বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন। ক্রিস জর্দান ম্যাচসেরা হয়েছেন। এটি ছিল পাঞ্জাবের টানা চতুর্থ জয়। এই জয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে পাঞ্জাব। ১১ ম্যাচের ৫টিতে জিতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তারা উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে। সমান ম্যাচ থেকে ৮ পয়েন্ট নিয়ে হায়দরাবাদ আছে ষষ্ঠ স্থানে।