ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আসামি সাফায়েত জামিলের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে । মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. সাজেদুল হক আসামিকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (ডিউব্লিউ) ইস্যুসহ রিমান্ড আবেদন করেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসী কারাগারে থাকা এ আসামিকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেন রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি)। একই সঙ্গে রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করেন আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি।
এর আগে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন সাফায়েত জামিল গত ৪ ফেব্রুয়ারি। জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ওই শিক্ষার্থীর দুই বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরী ও নুহাত আলম তাফসীরের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত ৩১ জানুয়ারি। মর্তুজা রায়হান চৌধুরী রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন রিমান্ড শেষে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। নুহাত আলমকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ওই তরুণীকে অতিরিক্ত মদ পান করিয়ে ধর্ষণ করেন আসামি রায়হান ২৮ জানুয়ারি। অন্য আসামিরা সেখানে ছিলেন এ সময়। ওই তরুণী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে পরের দিন তাকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করে। দুই দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ওই তরুণী মারা যান। চারজনকে আসামি করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন ওই তরুণীর বাবা ৩১ জানুয়ারি। মামলায় অজ্ঞাত আরও একজনকে আসামি করা হয়।