মিরপুর শের-ই-বাংলায় হৈ-হুল্লোড় নেই দীর্ঘদিন ধরেই। দর্শকহীন স্টেডিয়ামে ক্রিকেটাররা মাঠে ফিরলেও খেলেছেন। গ্যালারি খাঁ খাঁ করছিল। কেউ নেই উৎসাহ দেওয়ার মতো। নেই কোনও চিৎকার চেঁচামেচি। টের পাওয়া গিয়েছিল বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে দর্শকের অভাব। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ সামনেই শুরু হচ্ছে। এই টুর্নামেন্টেও কি গ্যালারি থাকবে দর্শকশূন্য? এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিলেও সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বিসিবি জানিয়েছে।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে কি দর্শকদের জন্য খোলা থাকবে ২৫ হাজার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন? বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দীন চৌধুরী সুজনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। দর্শকদের জন্য ভালো খবর শোনাতে পারলেন না তিনি। মাঠে দর্শক প্রবেশের সুযোগ নেই বর্তমান নিয়ম অুনযায়ী। তবে দেখালেন আশার আলো, আমরা যোগাযোগ করবো সরকারের সঙ্গে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে কোনও গাইডলাইন যদি পাওয়া যায়, তাহলে মাঠে দর্শক ঢোকার অনুমতি দেব আমরা। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারের যে গাইডলাইন আছে সে অনুযায়ী সাধারণ দর্শকদের খেলা দেখার ব্যাপারে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলবে ১৩ ও ১৭ নভেম্বর ঢাকায় বাংলাদেশ ও নেপাল ফুটবল দল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ৫ হাজার দর্শকের খেলা দেখার ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। জানা গেছে, সামাজিক দূরত্ব মেনে দর্শকদের জন্য আসন চিহ্নিত করে দিচ্ছে বাফুফে। নির্দিষ্ট আসনে বসেই ম্যাচ উপভোগ করতে হবে মাঠে উপস্থিত দর্শককে।
বিসিবিরও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে এমন কিছুর ভাবনা রয়েছে। তবে সরকারের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে বিসিবি। পাঁচ দলের টুর্নামেন্ট শুরুর পরিকল্পনা ২২ নভেম্বর থেকে। ঢাকা ও সিলেটে ম্যাচ আয়োজনের চিন্তা থাকলেও আপাতত সেখান থেকে সরে আসছে বিসিবি। টুর্নামেন্টের সবগুলো ম্যাচ ঢাকাতেই হবে। প্লেয়ার্স ড্রাফট ১২ নভেম্বর হবে।