পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলে জানিয়েছেন, ২২ থেকে ২৩ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব’ উদ্বোধনকালে তিনি এ তথ্য জানান সোমবার (১১ জানুয়ারি)। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জন্য চলমান প্রকল্পগুলো ক্ষণস্থায়ী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানিয়ে বলেন, কুতুপালং ক্যাম্পে পাহাড়ধস হয়েছিল। অনেক মানুষ মারা গিয়েছিল তখন। আমরা আশঙ্কা করছি, সামনের মৌসুমগুলোতে এমন দুর্ঘটনা আরও ঘটতে পারে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে ২২ থেকে ২৩ হাজার পরিবারকে।
আরও বলেন তিনি, অমানবিক নই যে আমরা, রোহিঙ্গাদের বিপদে ফেলব। অন্য কেউ তো তাদের নিতে আসেনি, আমরাই তাদের আশ্রয় দিয়েছি। ভাসানচরে কাজ করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলের ভালো সাড়া পাচ্ছি। কাজ করার সুযোগ ছিল না কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গাদের। মিয়ানমারে তারা মাছ ধরা, কৃষিকাজসহ যে ধরনের কাজ করত, তারা ভাসানচরে করতে পারবে সে ধরনের কাজ।
বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, একজন রোহিঙ্গাও মিয়ানমারে ফেরত যায়নি সাড়ে তিন বছরে। আমরা আশাবাদী, তারা যাবে। আমাদের বিপদ তারা না গেলে। অনেক দিন ধরে এত মানুষ থাকলে নানারকম ষড়যন্ত্র হবে। এদের মধ্যে যদি সন্ত্রাসী তৈরি হয়, আমাদের জন্যও ক্ষতিকর, মিয়ানমারের জন্যও ক্ষতিকর। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদারসহ অনেকে।