অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের নাম শক্তির বিচারে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে সামনের সারিতেই থাকবে। কিন্তু তারা উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন মৌসুমের প্রথম ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ঠিক পাত্তাই পেল না, এক হালি গোল হজম করেছে। ফিরতে হয়েছে ঘরে বিব্রতকর পরাজয়েই। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জার্মান ক্লাব বায়ার্ন চ্যাম্পিয়নস লিগের। বায়ার্ন মাস দুয়েক আগে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইকে ১-০ গোলে হারিয়ে ২০১৯-২০ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতেছিল। অ্যাটলেটিকোকে ৪-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নতুন মৌসুমের শুরুটাও ঠিক সেখান থেকেই করল তারা।
বায়ার্ন এ নিয়ে বর্তমান কোচ হানসি ফ্লিকের অধীনে ২০তম বারের মতো কোনো ম্যাচে ৪ বা ততোধিক গোল করল। গত এক বছরে এতবার কোনো দল প্রতিপক্ষের জালে হালি গোল দিতে পারেনি ইউরোপের সেরা পাঁচ লিগের মধ্যে। অ্যাটলেটিকো ফ্লিকের এই হালি উৎসবের সবশেষ শিকারই হলো।
একমাত্র গোলটি করেছিলেন কিংসলে কোম্যান গত আসরের ফাইনাল ম্যাচে পিএসজির বিপক্ষে। সেই তিনিই নতুন আসরের প্রথম ম্যাচে করলেন জোড়া গোল। তার সঙ্গে স্কোরশিটে একবার করে নাম তুলেছেন লিওন গোরেৎজকা এবং কোরেন্টিন তলিসো। কোনো গোলের দেখা না পেলেও ম্যাচে প্রথম বড় সুযোগটা এসেছিল অ্যাটলেটিকোর সামনেই। উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ মাত্র তৃতীয় মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি। পরে বায়ার্নও গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে। এতে তাদের দায় ছিল না অবশ্য। পোস্টে আঘাত হানে নিকলাস সুলের শট গিয়ে।
তবে বায়ার্নকে ২৭ মিনিটের সময় আর আক্ষেপ করতে হয়নি। জশুয়া কিমিচের এগিয়ে দেয়া বল ধরে ম্যাচের প্রথম গোল করেন ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড কোম্যান। বায়ার্ন প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার মিনিট চারেক আগে গোরেৎজকার নৈপুণ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করে। এবার প্রথম গোলদাতা কোম্যান তাকে বল এগিয়ে দেন। তোলিসো দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ম্যাচের ৬৬ মিনিটের সময় প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে জোরালো এক শটে তৃতীয় গোলটি করেন। এর মিনিট ছয়ের পর অনেকটা এক প্রচেষ্টায় নিজের দ্বিতীয় গোলের মাধ্যমে দলের হালি পূরণ করেন কোম্যান। দারুণ জয়ে মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন। আরবি সালজবার্গ ও লোকোমোটিভ মস্কোর মধ্যকার ম্যাচটি ড্র হয়েছে ২-২ গোলে একই গ্রুপে দিনের অন্য ম্যাচে।