দেশে চলছে লকডাউনকরোনার সংক্রমণ রোধে। একসপ্তাহের জন্য আসছে কঠোর লকডাউনআর ১৪ এপ্রিল থেকে। ঢাকার বাস টার্মিনালগুলোয় বাড়ছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়এই কারণে। নগরবাসীর মধ্যে একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে যে এই লকডাউন কতদিন থাকবেলকডাউনের ঘোষণার পরপরই। তাই আগেভাগেই সবাই গ্রামের বাড়ি চলে যাচ্ছে। এদিকে, দেশের দূরপাল্লার বাস চলছে নালকডাউনের কারণে। যার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। তাতে করেই গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন, বাস না থাকায় যে যেমন করে পারছেন।
বিপুল-সংখ্যক যাত্রী গাবতলীতে জড়ো হয়েছেনগাবতলীতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের এসআই মো. হুমায়ুন বলেন, ‘দুপুরের পর থেকে। কেউ কেউ প্রাইভেট কারে করে যাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার বাইকে করে ঝুঁকি নিয়েই গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন।’ তিনি বলেন, প্রাইভেটকারে যারা যাচ্ছেন, তাদের আমারা নিষেধ করলেও শুনছেন না। চলে যাচ্ছেনবিভিন্ন অজুহাত দিয়ে। এসআই আরও বলেন, ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রাখতে বলা হয়েছিলআমাদের। তবে, যাত্রীদের চাপে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি।’
মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকায় একই চিত্র দেখা গেছে। সেখানে দেখা গেছে, যাত্রীরা ব্যাগ, ব্যাডিং নিয়ে বসে আছেন। কেউ সিলেট যাবেন, কেউ ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। মহাখালী বাস টার্মিনালের বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম বলেন, যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে বিকেলে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা দূরপাল্লার বাস ছাড়ছি না। অনেক বিপদের মধ্যেই পড়ে গেছেনযাত্রীরা।