রাষ্ট্রীয়ভাবে জিয়াউর রহমানকে দেওয়া ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিল হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী এবং মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে একই সঙ্গে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) মহাপরিচালক মো. জহুরুল ইসলাম রোহেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি)।
তিনি বলেন, ৫ জনের খেতাবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জামুকার বৈঠকে সদস্যরা বিস্তারিত আলোচনার পর। এখন আমরা প্রস্তাব আকারে তা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠাব, মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে জামুকার ওই সভায় অন্য সদস্যরাও।
সংবিধান লঙ্ঘন, তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের কারণে জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের দেশত্যাগে সহায়তা। খেতাব বাতিল হলে তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য আর কোনো রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। বিতর্কিত ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় এছাড়ও সভায় লাল মুক্তিবার্তা তালিকা থেকে। এজন্য শাজাহান খানকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। একটি তালিকা তৈরি করে পরের বৈঠকে উপস্থাপন করবে এই কমিটি বিতর্কিতদের নামের। এই কমিটি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহারের বিষয়টিও খতিয়ে দেখবে।