তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমরা খেলছেন বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে। তিন দলের ৪৫ ক্রিকেটার মিরপুর শের-ই-বাংলায় নিয়মিত অনুশীলন ও ম্যাচ খেলছেন। নিয়মিত করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে। তারা সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রোববার আবারও করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছেন। সকালে করোনা পরীক্ষা করানো হয় টিম হোটেলে খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, কর্মকর্তা, দলের সহকারী, টিম বাসের চালক ও হেল্পার, হোটেল সোনারগাঁওয়ের কর্মীসহ মোট ১২৬ জনের। তাদের রিপোর্ট পাওয়া যাবে আগামীকাল সোমবার।
এ বহরের করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছিল এর আগে গত ৯ অক্টোবর বিশাল। বিসিবির সীমারেখার বাইরে থাকা দুজনের করোনা পজিটিভ এসেছিল ক্রিকেটার কোচিং স্টাফরা সবাই নেগেটিভ। এরপর তাদের বিসিবি আইসোলেশনে পাঠিয়ে দেয়। বিসিবি এদিকে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ১০ ক্রিকেটার ও ২ সাপোর্টিং স্টাফকে আইসোলেশনে পাঠিয়েছে। তাদেরকে বিসিবির একাডেমিতে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে করোনা উপসর্গ থাকায়। বিকেএসপিতে রয়েছেন বাকিরা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এশিয়া কাপ স্থগিত হওয়ায় ক্যাম্প সাময়িক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
করোনা ইস্যুতে বড় কিছুর মুখোমুখি হতে হয়নি এখন পর্যন্ত বিসিবি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্টেডিয়াম এলাকাকে রেড ও গ্রিন জোনে ভাগ করে দেওয়ার উপকার পাচ্ছে বিসিবি। গ্রিন জোন ক্রিকেটাররা যে জায়গাগুলো ব্যবহার করে থাকেন সেগুলো। রেড জোনের অন্তর্ভূক্ত এর বাইরে সকল জায়গা। ক্রিকেটারদের ড্রেসিংরুম রয়েছে গ্রিন জোনের ভেতরে, আইরন গেট মাঠে প্রবেশের, করিডোর, আউটফিল্ড, অ্যাকাডেমি মাঠ, ইনডোর, আউটার নেট ও জিম। নির্দিষ্ট কর্মী রয়েছেন এই গ্রিন জোনের তদারকিতে। এছাড়া রেড জোনে রয়েছে বিসিবি অফিস, মিডিয়া প্লাজা, গ্যালারি, পার্কিং এরিয়া ও স্টেডিয়ামের একপাশে থাকা আসবাবপত্রের দোকান। অনুমতিপত্র ছাড়া ঢুকতে পারেন না গ্রিন জোনে রেড জোনের কেউই।