পুলিশ ও জনতার সংঘর্ষের ঘটনায় থানা ও উপজেলা পরিষদের অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগে চার হাজার জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায়। ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা জানান, সালথা থানায় ৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত চার হাজার জনকে আসামি করে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান মিজান বাদী হয়ে মামলা করেন মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা আরও জানান, প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আরও পাঁচটি মামলা। ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে এ পর্যন্ত। লকডাউনের প্রথম দিনে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে জনতার সঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও তার সহকারীদের ভুল বোঝাবুঝি হয়। তর্কে-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন স্থানীয়রা গত সোমবার (৫ এপ্রিল) রাতে। গুজব রটিয়ে উপজেলা পরিষদ, থানা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবনসহ বিভিন্ন অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন স্থানীয় জনতা এক পর্যায়ে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা জানান, পরে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় ৫৮৮ রাউন্ড শটগানের গুলি, ৩২ রাউন্ড গ্যাস গান, ২২টি সাউন্ড গ্রেনেড এবং ৭৫ রাউন্ড রাইফেলের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। রামকান্তপুর এলাকার জুবায়ের হোসেন (১৮) নামে এক যুবক নিহত হন এতে। আহত হন শতাধিক।