বিদায় নিয়েছে ২০২০ সাল। নতুন বছর ২০২১ আমাদের মাঝে এসেছে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত সিডনিতে এবারও আতবাজির ঝলকানি দেখা গেছে। মানুষের উল্লাসধ্বনি আর হইহুল্লোড় কিন্তু সেখানে ছিল না। বর্ষবরণের জন্য বিখ্যাত নিউ ইয়র্কের বিখ্যাত টাইমস স্কয়ারও ছিল মরুভূমির ন্যায়। লন্ডনের বিখ্যাত ট্রাফালগার স্কয়ার একইরকম ছিল। বেইজিংয়ে অন্যান্যবারের মতো এবার আর লাইট শো দেখা যায়নি। কেবল সিডনি এই দৃশ্য, নিউ ইয়র্ক, লন্ডন কিংবা বেইজিংয়ে নয়, গোটা বিশ্বেই। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে আতশবাজি আকাশ রাঙালেও সেটার নিচে ছিল না উল্লাসমুখর মানুষের ভিড়। এক নীরব বর্ষবরণ বিশ্বব্যাপী এ যেন।
এবার সবখানেই জনসমাগম ছিল নিষিদ্ধ মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে। সে কারণে অন্যান্যবারের মতো বর্ষবরণে যে জনস্রোত দেখা যায়, আতশবাজির ঝলকানির সঙ্গে যে উল্লাসরত মানুষের মিলন মেলা হয়, সেটি হয়নি। নতুন নতুন ঢেউ নতুন বছরেও মানুষকে রেখেছে গৃহবন্দি করে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের। উন্মুক্ত আকাশের নিচের উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল না তাইতো আতশবাজির সঙ্গে। নিজ নিজ বাসা কিংবা বাসার ছাদেই বন্দি থাকতে হয়েছে বর্ষবরণের উৎসব হৃদয়ের কোণে চেপে রেখে।
কেননা বিশ্বব্যাপী ১৭ লক্ষের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাসে। সংক্রমণের সুনামি বইয়ে দিয়ে আক্রান্ত করেছে ৮ কোটি ২০ লাখ মানুষকে। লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। মৃত্যুর মিছিলে সামিল হচ্ছে। তাইতো নতুন বছরের উদযাপনকে নিরুৎসাহিত করেছে প্রায় সবগুলো দেশের সরকার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে। আরোপ করেছে কড়াকড়ি। বর্ষবরণের উৎসব করতে গিয়ে নতুন করোনাভাইরাসের সুনামি ডেকে না এনে বাসায় থাকাটাই বাঞ্চনীয় ছিল এবার। করাল গ্রাস মুক্তি হোক বিশ্ব নতুন বছরে মহামারি করোনাভাইরাসের। উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করুক বিশ্বময়।