সাকিব আল হাসান দেশে ফিরলেন। এর আগেও এসেছিলেন ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হয়ে। কিন্তু তখনও তার সামনে ছিল নিষেধাজ্ঞার খড়গ। দেশসেরা অলরাউন্ডার এবার নিষেধাজ্ঞামুক্ত হয়ে ফিরেছেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন সাকিব বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টায়। তিনি কদিনের মধ্যে ক্রিকেটে ফিরবেন। এর তাকে দিতে হবে ফিটনেস টেস্ট আগে সোমবার। এছাড়া আরও ১১২ জন ক্রিকেটারকেও দাঁড়াতে হবে পরীক্ষার সামনে। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ এই মাসের শেষ দিকে হবে। সাকিব ওই টুর্নামেন্ট দিয়েই ক্রিকেটে ফিরবেন।
দেশে ফিরে সাকিব বলেছেন, ভালো লাগছে আপনাদের দেখে, সবাই এখানে। অবশ্যই এবার যখন দেশে এসেছি একটা স্বস্তি নিয়ে এসেছি। তো এরকম স্বস্তিতে ছিলাম না এর আগে যখন এসেছি তখন। অনেক মুক্ত কিন্তু এখন সে জায়গা থেকে। এখন আমার দায়িত্ব হচ্ছে সবার এই ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থনের প্রতিদান দেওয়া। ক্রিকেটের বাইরে লম্বা সময়। তিনি এবার সেরা পারফরম্যান্স দেখাতে হলে নিজের উন্নতির বিকল্প দেখছেন না, চেষ্টা তো থাকবে প্রতিনিয়ত যেন নিজেকে আরও বেশি উন্নতি করতে পারি এবং নিজের সেরা পারফরম্যান্সকে যেন ছাড়িয়ে যেতে পারি।
অন্যরকম এবারের ফেরার অনুভূতি, অবশ্যই ব্যতিক্রম (এবারের ফেরা), অন্যবার হয়তো কোনও জায়গা থেকে খেলে আসি বা কোনও জায়গা থেকে বেড়ানো শেষে দেশে ফিরি। একটা কাজ শেষে আসলাম দেশে এবারও হয়তো কোনও। কিন্তু এবার যেটা হল মাথার ওপর যে চাপ ছিল সেটা ঝেড়ে আসতে পারলাম। খুশি সাকিব এই দুঃসময়ে সবার সমর্থনে, সমর্থন দেওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাব। বারবার একই কথা বলতে হচ্ছে আমাকে, আমি চেষ্টা করবো যেন এটারই প্রতিদান দিতে পারি।
ফিটনেস নিয়ে সাকিবের মূল্যায়ন লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকায়, আসলে এটা ফিটনেস টেস্টের সময়ই বোঝা যাবে। কিন্তু এটা ঠিক, যে অবস্থানে ছিলাম সেই অবস্থানে নেই। যখন ট্রেনিং করছিলাম মাঝখানে, একটা ভালো অবস্থানে চলে এসেছিলাম তখন। এই এক মাস ভালো একটা অবস্থায় থাকতাম। যেহেতু এক মাসের বিরতি পড়লো, স্বাভাবিকভাবেই বেশ কিছুটা পিছিয়ে পড়েছি। কিছুটা সময় লাগবে আমার, এই টুর্নামেন্ট পুরোটা শেষ হতে হতে আমার ধারণা ফিটনেস ফিরে পাবো।