ল্যাবরেটরি, লাইব্রেরি, অফিস কক্ষ ও কমন রুম নেই ঢাকা প্রেসিডেন্সি কলেজে ১৭০ শিক্ষার্থীর ভর্তির অনুমোদন থাকলেও সেখানে। সব কিছু চলে তিনটি শ্রেণিকক্ষে। ৫ দফায় কলেজটি স্থানান্তর করা হয়েছে তার ওপর গত চার বছরে। এসব অভিযোগে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে শোকজ দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড বুধবার (২৮ অক্টোবর)।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক মো. হারুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত শোকজে বলা হয়েছে, নথি পর্যালোচনা করা হয়েছে বিভিন্ন অনিয়ম এবং অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরীর প্রেসিডেন্সি কলেজের। তাতে দেখা গেছে, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে মোট ১৭০ জন শিক্ষার্থীর আসন অনুমোদন থাকলেও সেখানে মাত্র ২৩ জন ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে গণিত, যুক্তিবিদ্যা, ভূগোল, সমাজবিজ্ঞান ও ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক ছাড়া চলছে কলেজটি। ল্যাবরেটরি, লাইব্রেরি, অফিস কক্ষ ও কমন রুম নেই তার মধ্যে। শুধু তাই নয়, ক্লাস ও অফিসের কার্যক্রম মাত্র তিনটি কক্ষে চলে।
এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত, ২০১৪ সালে ১৭০টি আসনের মধ্যে ৫১ জন পরীক্ষা দিয়ে ৪০ জন, ২০১৫ সালে ৩২ জনের মধ্যে ২৪ জন, ২০১৬ সালে ৩৭ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৫, ২০১৭ সালে ২৭ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২১ জন, ২০১৮ সালে ২২ জনের মধ্যে ৫ জন এবং ২০১৯ সালে ১৪ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১০ জন পাস করে।
বলা হয়েছে, পাঁচ দফায় ঠিকানা পরিবর্তন করেছে এ কলেজটি শিক্ষা বোর্ডের অনুমতি ছাড়া ২০০৬ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত। বর্তমানে ঢাকা ১২০, পশ্চিম ধানমন্ডি, ঢাকার ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া বিভিন্ন সময়ে তাদের সুবিধাজনক স্থানে ক্যাম্পাস স্থানান্তর করা হলেও নিয়ম অনুযায়ী বোর্ডের অনুমোদন, নির্দিষ্ট ফি দেওয়া, বোর্ডের মাধ্যমে পরিদর্শন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মতি নেওয়া হয়নি। বোর্ডের নীতিমালার পরিপন্থিই নয় এ ধরনের কর্মকাণ্ড কেবল, গর্হিত অন্যায় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এই কলেজের পাঠদানের অনুমতি/একাডেমিক অস্থায়ী স্বীকৃতি কেন স্থগিত করা হবে না, তা পত্র জারির পরবর্তী সাত কার্যদিবসের মধ্যে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।