ধর্ষণ জঘন্য অপরাধ হলেও তাতে মৃত্যুদণ্ড দেয়া যথাযথ কোনও শাস্তি নয়; জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার প্রধান মিশেল ব্যাচলেট বলেছেন, যেমনটা বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে হয়েছে। এমন মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বাংলাদেশে ধর্ষণের অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের অধ্যাদেশ এবং প্রথমবার পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর এতে আপত্তি জানিয়ে।
এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী বার্তা সংস্থা, এক বিবৃতিতে বলেছেন মিশেল ব্যাচলেট, যারা এ ধরনের বিভৎস কাজ করে তাদের ওপর কঠোর শাস্তি আরোপ প্ররোচনামূলকও হতে পারে। আমরা এর মাধ্যমে নিজেদের আরও অপরাধ করার সুযোগ তৈরি করে দিতে পারি না।
মিশেল ব্যাচলেট বলেন, সম্প্রতি একটি ধর্ষণের ঘটনার পর বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে আইন পরিবর্তনের বিষয়টি উল্লেখ করে মৃত্যুদণ্ডের নেপথ্যে যুক্তি হলো যে, ধর্ষণের মাত্রা কমিয়ে আনবে এটা; কিন্তু প্রমাণ নেই যে এমন কোনো, কোনও অপরাধের মাত্রা কমিয়ে আনতে পেরেছে অন্যান্য শাস্তির তুলনায় মৃত্যুদণ্ড। জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার এই প্রধান বলেন, প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, অপরাধের মাত্রা কমে আসে সর্বোচ্চ শাস্তি নয় দ্রুততার সঙ্গে বিচার কার্যকর করা গেলেই।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘বেশিরভাগ দেশে মূল সমস্যা হলো- যৌন সহিংসতার শিকার মানুষের অগ্রাধিকারভিত্তিতে আদালতে বিচার পাওয়ার সুযোগ নেই।’ ২০১২ সালে ১৫ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণের পর দলবেঁধে ধর্ষণের দায়ে গতকাল বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়ার পর জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়টির সংস্থাটির প্রধান এমন মন্তব্য করলেন।