নীল জার্সিতে কল্পনা করুন তো স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে লিওনেল মেসিকে? এমনটা হলেও হতে পারতো ছয় বছর আগে। চেলসি আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের সঙ্গে চুক্তির খুব কাছে ছিল। এ দাবি করেছেন প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবে আসার জন্য বার্সেলোনার সুপারস্টারকে রাজি করে ফেলেছিলেন তখনকার কোচ হোসে মরিনহো। ইতালিয়ান ব্রডকাস্টার স্কাই স্পোর্ত ইতালিয়ার সাংবাদিক ও ট্রান্সফার মার্কেট বিশেষজ্ঞ জিয়ানলুকা ডি মারজিও।
মেসি সম্প্রতি লা লিগা ক্লাবকে বিদায় জানানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু ৭০ কোটি ইউরো রিলিজ ক্লজের জটিলতায় থাকতে হচ্ছে আরও একটি মৌসুম। তবে প্রথম নয় এবারই, ২০১৪ সালেও ন্যু ক্যাম্প ছাড়ার পথে ছিলেন ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। ওই সময় তার ২৫ কোটি ইউরো রিলিজ ক্লজ ছিল। সেটা পরিশোধ করে প্রত্যেক মৌসুমে ৫ কোটি পাউন্ড বেতনে তার সঙ্গে চুক্তি করতে চেয়েছিল ব্লুরা। অভিহিত করেছেন ডি মারজিও যাকে ‘ট্রান্সফার মার্কেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অজানা গল্প’ বলে।
দুই পক্ষের আলোচনা হয়েছিল ২০১৩ সালে মেসির পরিবারের বিরুদ্ধে স্প্যানিশ সরকারের কর ফাঁকির তদন্ত চলার মধ্যে। ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই ঝামেলায় দেশ ছাড়তে চেয়েছিলেন। ট্রান্সফার মার্কেটের অব্যক্ত গল্পগুলো নিয়ে ডি মারজিওর লেখা বই গ্র্যান্ড হোটেল কালকিওমেরকাতোতে এসব উন্মোচিত হয়েছে। এই সাংবাদিক জানান, মেসিকে রাজি করাতে মরিনহো ভিডিও কল করেছিলেন।
মেসি ব্যক্তিগতভাবে সম্মতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু তার বাবা ও এজেন্ট হোর্হে এবং সাবেক সতীর্থ ডেকোর কারণে এই চুক্তি হতে গিয়েও ‘সাবানের বুদবুদের মতো ফেটে বাতাসে উধাও হয়ে গিয়েছিল’। আরও দাবি করা হয় বইতে, চেলসির আগে একই শর্তে মেসিকে নিতে চেষ্টা করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। কিন্তু তার বার্সেলোনায় অবস্থানের কারণে ওই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।