আবারও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেতা অং সান সু চির বিরুদ্ধে। সম্পৃক্ত এক নির্মাণ ব্যবসায়ী দাবি করেছেন দেশটির সেনাশাসকদের সঙ্গে, ব্যবসায়িক সুবিধার জন্য তিনি সু চিকে পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার ঘুষ হিসেবে দিয়েছিলেন।
সু চির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত ও তাকে গৃহবন্দি করে সামরিক বাহিনী গত পহেলা ফেব্রুয়ারি। এরপর সু চির বিরুদ্ধে আমদানি-রপ্তানি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা হয়। ছয় লাখ ডলার ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে আরেকটি মামলা হয় এ ঘটনার পর। এই মামলা দুটিকে ভিত্তিহীন অভিযোগে দায়ের করা বলে দাবি করেছেন সু চির আইনজীবী। সু চির বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার করেন মং ওয়াইক নামের এক ব্যবসায়ী বুধবার। মাদক পাচারের অভিযোগে কারাভোগও করেছেন এই ব্যবসায়ী।
তিনি দাবি করেছেন এক বিবৃতিতে, তিনি সু চির সরকারের মন্ত্রীদের ঘুষ দিয়েছিলেন তার ব্যবসার সুবিধার জন্য। সু চির মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৫০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন ২০১৮ সালে। এছাড়া দেড় লাখ ডলার ২০১৯ সালে, ৫০ হাজার ডলার গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এবং ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার এপ্রিলে দিয়েছিলেন। বলা হয়েছে সেনা নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন চ্যানেলে, অং সান সু চি দুর্নীতি করেছেন এবং কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।