পা না রেখেই অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার অ্যাস্টন টার্নার স্পিন উইকেট নিয়ে রোমাঞ্চ প্রকাশ করেছিলেন মিরপুর শের-ই-বাংলার মাঠে। জানিয়েছিলেন, এই উইকেটে খেলার জন্য মুখিয়ে আছেন। টার্নারদের রোমাঞ্চ তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেছে নাসুম-সাকিবদের ঘূর্ণিতে খেলতে নেমে। রীতিমতো ভরাডুবির শিকার তারা বাংলাদেশি স্পিনারদের কাছে। ওয়েড-ফিলিপেদের ব্যাট কথা বলেনি। অভিজ্ঞ মিচেল মার্শ স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে লড়াই করেন। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ১০৮ রানের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৫ রান ছিল তার; আর দ্বিতীয় ম্যাচে ১২১ রানের মধ্যেও ৪৫ রান তার। বাকি ব্যাটসম্যানরা কেমন অসহায় ছিলেন এতেই বোঝা যায়।
বিষয়টি আরো পরিষ্কার হবে একটু পরিসংখ্যানে চোখ বুলালেই। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের স্পিনাররা নিয়েছেন ৬ উইকেট। তারা ৫৬টি ডট বলের মধ্যে ৩৬টিই দিয়েছেন। মেহেদী হাসান ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট তার মধ্যে। ডট বল করেন ১০টি। নাসুম ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে শিকার করেন ৪ উইকেট। ডট বল করেন ১২টি।
সাকিব ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। ডট বল করেন ১৩টি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১ ওভারে ৬ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি, ডট বল করেন একটি। প্রথম ম্যাচের হিসাব এটা তো গেল। ৫০টি ডট বলের মধ্যে স্পিনাররা ডট বল দিয়েছেন ২৮টি গত ম্যাচে। ২টি উইকেট নিয়েছেন। মেহেদী ৩ ওভারে ১২ রান দিয়ে ১ উইকেট, ডট বল ১০টি।
কোনো উইকেট পাননি নাসুম ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে, ডট বল ৯টি। সাকিবও ৪ ওভারে সমানসংখ্যক ডট বল দেন, ২২ রান খরচায় নেন ১ উইকেট। বোঝা যায় স্পিনে কতটা ভীত অজিরা এই পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেই! ১৩১ রানের জবাবে খেলতে নেমে ১০৮ রানে অলরাউট হয়ে অস্ট্রেলিয়া হারে ২৩ রানে প্রথম ম্যাচে। ১২১ রান করার পর তাদের পরাজয় ৫ উইকেটের আর দ্বিতীয় ম্যাচে।
