যশোর ও নড়াইলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা তিন জনের নমুনায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের করোনা শনাক্ত হয়েছে ভারত থেকে ফেরার পর। যশোর জিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারের স্পাইক প্রোটিনের সিকুয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে মঙ্গলবার (১৮ মে)। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদ।
অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদ জানান, যশোর সদর হাসপাতাল থেকে দুজনের নমুনা ও ১৬ মে নড়াইল থেকে এক জনের নমুনা পাঠানো হয় গত ১২ মে। ভারত ফেরত যাত্রী হওয়ায় তাদের নমুনার ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের জন্য স্পাইক প্রোটিনের সিকুয়েন্স সম্পন্ন করা হয় নমুনা পজিটিভ হওয়ার পর। আজ তাদের নমুনায় ভারতীয় ভ্যারিয়েনন্ট বি ১.৬১৭.২ এর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এটি উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে। এ ভ্যারিয়েন্ট ইতোমধ্যে ৬০টি দেশে ছড়িয়েছে। ডাবল মিউট্যান্ট না হলেও এটি উদ্বেজনক।
তিনি বলেন, এখন যারা ভারত থেকে আসছেন, ভারতীয় যে কোনো ভ্যারিয়েন্ট বহন করতে পারে তারা। সেজন্য আমরা নমুনা পজেটিভ হলেই ভ্যারিয়েন্ট নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি। নেগেটিভ না হওয়া পর্যন্ত ছাড়া ঠিক হবে না এ ধরনের রোগীকে। এছাড়া দ্রুত আমাদের ভ্যাকসিনের কার্যক্রম শেষ করতে হবে। তাহলে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা কম থাকবে। এছাড়া মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মানা ও ভারত থেকে মানুষের যাতায়াত কম করতে হবে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন এদিকে। তিনি বলেন, কোনো তথ্য থাকলে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসির) ব্রিফিং করবে এ বিষয়ে। প্রসঙ্গত, গত ৮মে যশোরে আরও দুই জনের শরীরের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের করোনা শনাক্ত হয়েছিল এর আগে।