দেহে অ্যান্টিবডির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে যায় চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক উৎপাদিত কোভিড-১৯ এর টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার প্রায় ছয় মাস পর। এ তথ্য জানানো হয়েছে চীনা গবেষকদের একটি প্রতিবেদনে। ৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী স্বাস্থ্যবান ৫৪০ জনের রক্তের নমুণা বিশ্লেষণ করা হয় গবেষণাগারে। যারা টিকার দুই ডোজ নিয়েছিলেন, দুই বা চার সপ্তাহ ব্যবধানে তাদের নিস্ক্রিয় অ্যান্টিবডি ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ ও ৩৫ দশমিক ২ শতাংশ থাকে। এরপরও ছয় মাস পর দেহে শনাক্তযোগ্য মাত্রার অ্যান্টিবডি থাকে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, তা স্পষ্ট ছিল না অ্যান্টিবডি হ্রাস টিকার কার্যকারিতার ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলে। কী পরিমাণ অ্যান্টিবডি থাকলে টিকা রোগ প্রতিরোধে সক্ষম সেই মাত্রা এখনও নির্ধারণ করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।
তাদেরকে বুস্টার ডোজ হিসেবে মডর্না ও ফাইজারের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে ইতোমধ্যে সম্মত হয়েছে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া যারা সিনোভ্যাকের টিকা নিয়েছেন। সিনোভ্যাক বা ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু করেছে তুরস্ক অবশ্য তৃতীয় ডোজ হিসেব। গবেষকরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, অ্যান্টিবডির কার্যকারিতা নিয়ে তারা এখনও গবেষণা করেননি করোনার উচ্চ সংক্রামক ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে। অ্যান্টিবডির স্থায়িত্ব নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন তৃতীয় ডোজ নেওয়ার পর।