নিউইয়র্কের ফেডারেল আদালত যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হলে তাকে ১০ দিনের মধ্যেই আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ রায় দেন সম্প্রতি বিচারক এলিসন জে নাথান। এর ফলে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য আর আটক রাখা যাবে না ইমিগ্রেশন বিভাগ এখন গ্রেপ্তার করা অভিবাসীদের। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখা যেতে পারে না কোনো অভিবাসীকে বিনা বিচারে। একজন মানুষের মানবিক এই অধিকার খর্ব করা যেতে পারে না কোনো আইন বা নির্দেশনা দিয়ে।
এই মামলায় বাদী ছিলেন সীমার মাইকেল নামের এক অভিবাসী। আর এই মামলার অন্যতম অ্যাটর্নি হিসেবে কাজ করেছেন আইনজীবী জেইন। জেইন বলেন, অভিবাসীদের আটক রাখার ঘটনা ভয়ঙ্কর ইমিগ্রেশন বিভাগের আটককেন্দ্রে অমানবিক অবস্থায় কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস। এমন আটক অভিবাসীদের দ্রুত আদালতে হাজির করার বিষয়টি সামনে এলো আদালতের রায়ের মাধ্যমে।এ বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে চলমান কোভিড-১৯ সংক্রমণের সময় । বাদী সীমার মাইকেল আদালতে বলেন, ‘ইমিগ্রেশন এজেন্টরা আটক করার সময় বলেছিলেন, আমি ঘরে পৌঁছতে পারবো রাতে সন্তানদের নিয়ে খাবার খাওয়ার আগেই। অথচ আমাকে আটককেন্দ্রে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ইমিগ্রেশন বিচারকের কাছে উপস্থাপনের জন্য ছয় সপ্তাহ।’
আদালতের রায় শোনার পর মাইকেল বলেন, ‘এমন কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে না হয় আর কোনো অভিবাসীকে।’
নাগরিক অধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘মাসের পর মাস আটককেন্দ্রে রাখা হয় আটক অভিবাসীদের। এর মধ্যে জামিনে ছাড়া পান ৪০ শতাংশই পরে। যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ অভিবাসনের নথিপত্র থাকে আটক অভিবাসীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশরেই। এদের গ্রেপ্তার করা হয় অভিবাসন রেকর্ডে সামান্য ভুল বা অন্য কোনো অপরাধের জের হিসেবে।’ ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করা হবে কি না, তা এখনো জানা যায়নি। নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলো ক্ষমতার পালা বদলের এই সময়ে ট্রাম্প প্রশাসন পাল্টা কোনো অবস্থান নেবে না বলে আশা করছে।