অনুদান ৪০ শতাংশের বেশি কমিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য। চলতি সপ্তাহে দেশটির পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন দপ্তর (এফসিডিও) মানবিক সহায়তার জন্য দুই কোটি ৭৬ লাখ পাউন্ডের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। চার কোটি ৭৫ লাখ পাউন্ড অথচ গত বছর এর পরিমাণ ছিল।এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান শুক্রবার এক প্রতিবেদনে।
দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের পলিসি, অ্যাডভোকেসি ও ক্যাম্পেইন বিভাগের প্রধান নির্বাহি ক্রিস্টি ম্যাকনেইল বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে অসহায় ও অরক্ষিত কিছু মানুষের জন্য বিপর্যয়কর পরিণতি বয়ে আনবে এই সিদ্ধান্ত। আমাদের যখন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন তখন পিছিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য।
তিনি জানান, বিস্ময়কর নয় মানবিক বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া, কারণ সরকার ইতোমধ্যে ইয়েমেন ও সিরিয়ায় তাদের সহায়তার পরিমাণ কমিয়েছে।
এক বিবৃতিতে বলেছেন যুক্তরাজ্যে বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট তুন খিন, যুক্তরাজ্যের জন্য আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব পরিত্যাগের সময় এখন নয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব যখন অনুদান কাটছাঁট করছেন তখন এর প্রধান টার্গেট হবে রোহিঙ্গা শিশুরা। ভবিষ্যত হারিয়ে যাবে আশ্রয় শিবিরের শিশুদের। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা কোনো শিক্ষা না পেলে ১০ বছরে আমরা একটি প্রজন্মকে হারিয়ে ফেলব।
বার্মা ক্যাম্পেইন ইউকে নামের আরেকটি সংগঠন অভিযোগ করেছে, রোহিঙ্গাদের সমর্থনে এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করছে না ব্রিটিশ সরকার মিয়ানমারে অভ্যুত্থান ঘটানো সেনাদের নিন্দা জানালেও।
সংগঠনের প্রচার কর্মকর্তা কারিন ভাল্টারসন বলেছেন, কিন্তু তিনি বার্মার ব্যাপারে নাক গলান না ডমিনিক রাব কথার কথা বলেন। তিনি বিবৃতি দেওয়া পছন্দ করেন, চাই সেটা বিচারের জন্য হোক কিংবা বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে হোক। কিন্তু এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কোনো পদক্ষেপ নেন না। অনুদানও অন্তর্ভুক্ত এর মধ্যে।